ঢাকা ০২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বৈরাচারী সরকার আওয়ামীলীগের আমল থেকে ঘড় ছাড়া

রাজধানীতে পৈত্রিক সম্পদ হতে বিতারিত সাবেক ৫২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর

স্বাধীনবাংলা, স্টাফ রির্পোটারঃ
  • প্রকাশের সময় : ০৪:২১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ১২১ বার পঠিত
স্বাধীনবাংলা টেলিভিশনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, স্টাফ রির্পোটারঃ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) বিএনপি সমর্থিত সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ( সাবেক ৫২, বর্তমান ১৮ নাম্বার ওয়ার্ড, সেন্ট্রাল রোড, এ্যালিফ্যান্ট রোড ও নিউ মার্কেট এলাকা) মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর আওয়ামীলীগ সরকারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন । আওয়ামীলীগের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাকর্মীদের দ্বারা গুম হত্যার ভয় ও র্নিমম নির্যাতন, অত্যাচার এবং একেরপর এক মামলায় আক্রান্ত হয়েছেন  হয়েছিলেন মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর।

পরিবারসূত্রে জানাযায়, মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীরের আপন ছোট ভাই। ১৯৮৪ সালে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীরকে নিজ খরচে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সুইডেন নিয়ে আসেন মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালে মা, ছোট বোন সামিয়া আক্তার রুমা (০৯), মোজাম্মেল হোসেন (১২) কে সুইডেন নিয়ে আসেন। এছাড়াও আফরোজ জাহান পারভীন, তার ছেলে ও স্বামীসহ তাদেরকেও সুইডেন নিয়ে আসেন মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর। এছাড়াও বর্তমানে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর সহ অন্যান্য ভাই-বোনেরা সুইডেন বসবাস করছেন । মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর ও তার পরিবার সাবেক স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের র্নিমম অত্যাচারে স্বীকার হন বারবার।

 

মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, আমি ও আমার পরিবার সবাই সুইডেনের নাগরিতা পেয়েছি।

মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে জানান, তার আপন ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাকর্মীদের ছত্র-ছায়ায় থাকতেন। আওয়ামীলীগের ছত্র-ছায়ায় থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় নানান অযুহাত ও সু-কৌশলে আমাকে অহেতুক অন্যায় ও নিষ্ঠুর ভাবে আওয়ামী সরকারের কলাবাগান থানার আওয়ামী সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল (১৬ নং ওর্য়াড) এবং আওয়ামী সাবেক সভাপতি শহীদুল কবির শহীদের (১৮ নং ওর্য়াড) সহযোগীতায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী ক্যাডার দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি এবং হত্যা,গুম, প্রাণনাশের হুমকী ও ভিত্তিহীন মিথ্যে বানোয়াট মামলা দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে কোনঠাসা করে রাখেন।

এমনকি মামলায় আমি মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর, আমার স্ত্রী, ষোল মাসের শিশু (১৬ মাস) সন্তানসহ আমার চার (০৪) বছরের সন্তান (শিশু)কে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

তিনি আরোও জানান,  আমার র্দীঘ দিনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংশ করার জন্যে আমার আপন ছোট ভাই সাবেক সরকারের বিভিন্ন ক্যাডার বাহিনী দ্বারা একের পর এক মিথ্যে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ভুল ব্যাখা প্রদান করে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং অনলাইন মিডিয়াতে মিথ্যে তথ্যহীন ও বানোয়াট খবর প্রচারিত করে আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে।

বিএনপির সাবেক এই নেতা আরোও জানান, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হয়ে শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধরে রেখে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পদবি অর্জন করি। আমি ছাত্র জীবন থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলাম। ১৯৭৭ সালে গঠিত জাগো দলের অঙ্গ সংগঠন জাগো ছাত্রদল ঢাকা মহানগরীর আহব্বায়ক এবং জাগো ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় আহব্বায়ক কমিটির  সদস্য ছিলাম। ১৯৭৮ সালে যখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হয় তখন যুব দল ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য ও ধানমন্ডি থানার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম।

১৯৮৪ সালে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের সময় রাজনৈতিক অস্তিরতার কারণে দেশে বসবাস করা আমার জন্য ঝুকিঁপূর্ণ ও হুমকীর সম্মুখীন হওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সাইফুর রহমান নান্টু সহ আরো অন্যান্য শুভকাঙ্খী ব্যক্তিবর্গের সার্বিক সহযোগীতায় আমার জীবন রক্ষার্থে সুইডেন পাঠিয়ে দেন। সুইডেন গিয়ে জাতীয়তাবাদী দলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।

তাছাড়াও সুইডেন গিয়ে সুইডেন,ডেনমার্ক,নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড শাখার  সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। পরে সেই সব দেশে আলাদা আলাদা কমিটি করা হয়। পরবর্তীতে সুইডেন শাখার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি।

পরবর্তীতে ২০০২ সালে স্বদেশে বর্তমান ১৮ নং ওর্য়াড ( সাবেক ৫২ নং ওর্য়াড ) থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে কমিশনার পদে নির্বাচন করি । এতে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে নির্বাচিত হই। ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্রযন্ত নিজেকে জনগনের সেবায় নিয়োজিত রাখি। এর মধ্যেই আবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি।

পর্যায়ক্রমে ২০০৯ সালে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা দলীয় প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করি। স্থানীয় জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয়ের দারপ্রান্তে নিয়ে যায়। হঠাৎ করে আওয়ামীলীগের পদপ্রার্থী সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও গুলি ছুড়ে এবং কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করে। এতে কিছু কেন্দ্র স্থগিত করা হয়। পরে ঐ বছরেই ১৬ মার্চ পূনঃ নির্বাচন দেওয়া হয়। তখন আওয়ামীলীগ প্রার্থী সমর্থকরা লাঠি, বৈঠা, অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে কেন্দ্র দখল করে নিজেরাই ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে।

জাহাঙ্গীর আরোও বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আমল থেকে আমাকে আমার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে আমার ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর আওয়ামীলীগের মন্ত্রী,এমপি ও আওয়ামী দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দ্বারা আমাকে সমপত্তি থেকে বিতারিত করে ।

উল্লেখ্য, রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন ৯০ নাম্বার সেন্ট্রাল রোডের দুই কাঠা জায়গার উপর ছয় তলা বিশিষ্ট বাড়িটি একাই আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর।

মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের যোগসাজসে পুরো বাড়িটি ভোগ দখল ও আত্মসাৎ করে।  পাশাপাশি আমাকে ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্ন মামলা ও প্রাণ নাশের হুমকী দেয়। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসন দিয়ে আমাকে গ্রেফতার করার জন্য খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। আমি এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে আমার পরিবারবর্গ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গোপনে বসবাস করি।

আলমগীর (আমার ছোট ভাই) গত ২০১৭ সালে নিজে বাদী হয়ে আমার ও আমার স্ত্রীর নামে কলাবাগান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার মূল উদ্দেশ্য হলো  ৯০ নাম্বার সেন্ট্রাল রোড বাড়িটি দখল করা।

আমার পিতা এ কে আহমদ হোসেনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন জিডি ও মামলা করি নাই।

এ কে আহমদ হোসেন (আমার পিতা) গত ২০১১ সালে ১৩ই ফেব্রুয়ারি একটি হলফনামায় অঙ্গীকার করে গেছেন। তিনি হলফ নামায় বলেছেন, জিডি ও মামলা এসব ভুয়া বানোয়াট ও মিথ্যা। এরপরও ভিত্তিহীন ভাবে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর বিভিন্ন প্ররোচনায় আবারো বাড়ির বিষয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর বিজ্ঞ আদালত সবকিছু তদন্ত সাপেক্ষে মামলাটি খারিজ করে দেন। বিজ্ঞ আদালত আরো বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তির ওয়ারিশ হিসেবে চারতলার ফ্ল্যাটটি জাহাঙ্গীর বসবাস করবেন ।

এরপর চলতি বছরে ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীরের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন। পিটিশন মামলার নাম্বার ১১১। মামলাটি চলমান রয়েছে ।

এছাড়াও আমার পৈত্রিক সম্পত্তির বাড়িটি আত্মসাৎ করার জন্য মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর সুইডেন থেকে স্বৈরাচার আওয়ামী ষড়যন্ত্রকারীদের দিয়ে একের পর এক ষড়যন্ত্র ও অন্যায় মূলক ভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন হেনস্তা করে যাচ্ছে।

পরিবারের অভিযোগ সূত্রে ও  মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বলেন , মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর দেশ-বিদেশে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সাথে এবং বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে থেকে দেশ-বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। তাছাড়াও প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত তার এই অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। আমি এইসব হয়রানি থেকে পরিত্রাণ চেয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।

 

এসবিএন

স্বৈরাচারী সরকার আওয়ামীলীগের আমল থেকে ঘড় ছাড়া

রাজধানীতে পৈত্রিক সম্পদ হতে বিতারিত সাবেক ৫২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর

প্রকাশের সময় : ০৪:২১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, স্টাফ রির্পোটারঃ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) বিএনপি সমর্থিত সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ( সাবেক ৫২, বর্তমান ১৮ নাম্বার ওয়ার্ড, সেন্ট্রাল রোড, এ্যালিফ্যান্ট রোড ও নিউ মার্কেট এলাকা) মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর আওয়ামীলীগ সরকারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন । আওয়ামীলীগের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাকর্মীদের দ্বারা গুম হত্যার ভয় ও র্নিমম নির্যাতন, অত্যাচার এবং একেরপর এক মামলায় আক্রান্ত হয়েছেন  হয়েছিলেন মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর।

পরিবারসূত্রে জানাযায়, মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীরের আপন ছোট ভাই। ১৯৮৪ সালে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীরকে নিজ খরচে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সুইডেন নিয়ে আসেন মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালে মা, ছোট বোন সামিয়া আক্তার রুমা (০৯), মোজাম্মেল হোসেন (১২) কে সুইডেন নিয়ে আসেন। এছাড়াও আফরোজ জাহান পারভীন, তার ছেলে ও স্বামীসহ তাদেরকেও সুইডেন নিয়ে আসেন মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর। এছাড়াও বর্তমানে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর সহ অন্যান্য ভাই-বোনেরা সুইডেন বসবাস করছেন । মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর ও তার পরিবার সাবেক স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের র্নিমম অত্যাচারে স্বীকার হন বারবার।

 

মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, আমি ও আমার পরিবার সবাই সুইডেনের নাগরিতা পেয়েছি।

মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে জানান, তার আপন ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাকর্মীদের ছত্র-ছায়ায় থাকতেন। আওয়ামীলীগের ছত্র-ছায়ায় থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় নানান অযুহাত ও সু-কৌশলে আমাকে অহেতুক অন্যায় ও নিষ্ঠুর ভাবে আওয়ামী সরকারের কলাবাগান থানার আওয়ামী সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুল (১৬ নং ওর্য়াড) এবং আওয়ামী সাবেক সভাপতি শহীদুল কবির শহীদের (১৮ নং ওর্য়াড) সহযোগীতায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী ক্যাডার দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি এবং হত্যা,গুম, প্রাণনাশের হুমকী ও ভিত্তিহীন মিথ্যে বানোয়াট মামলা দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে কোনঠাসা করে রাখেন।

এমনকি মামলায় আমি মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর, আমার স্ত্রী, ষোল মাসের শিশু (১৬ মাস) সন্তানসহ আমার চার (০৪) বছরের সন্তান (শিশু)কে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

তিনি আরোও জানান,  আমার র্দীঘ দিনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংশ করার জন্যে আমার আপন ছোট ভাই সাবেক সরকারের বিভিন্ন ক্যাডার বাহিনী দ্বারা একের পর এক মিথ্যে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ভুল ব্যাখা প্রদান করে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং অনলাইন মিডিয়াতে মিথ্যে তথ্যহীন ও বানোয়াট খবর প্রচারিত করে আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে।

বিএনপির সাবেক এই নেতা আরোও জানান, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হয়ে শহীদ জিয়ার আদর্শকে ধরে রেখে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পদবি অর্জন করি। আমি ছাত্র জীবন থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলাম। ১৯৭৭ সালে গঠিত জাগো দলের অঙ্গ সংগঠন জাগো ছাত্রদল ঢাকা মহানগরীর আহব্বায়ক এবং জাগো ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় আহব্বায়ক কমিটির  সদস্য ছিলাম। ১৯৭৮ সালে যখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হয় তখন যুব দল ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য ও ধানমন্ডি থানার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম।

১৯৮৪ সালে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের সময় রাজনৈতিক অস্তিরতার কারণে দেশে বসবাস করা আমার জন্য ঝুকিঁপূর্ণ ও হুমকীর সম্মুখীন হওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সাইফুর রহমান নান্টু সহ আরো অন্যান্য শুভকাঙ্খী ব্যক্তিবর্গের সার্বিক সহযোগীতায় আমার জীবন রক্ষার্থে সুইডেন পাঠিয়ে দেন। সুইডেন গিয়ে জাতীয়তাবাদী দলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।

তাছাড়াও সুইডেন গিয়ে সুইডেন,ডেনমার্ক,নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড শাখার  সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি। পরে সেই সব দেশে আলাদা আলাদা কমিটি করা হয়। পরবর্তীতে সুইডেন শাখার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি।

পরবর্তীতে ২০০২ সালে স্বদেশে বর্তমান ১৮ নং ওর্য়াড ( সাবেক ৫২ নং ওর্য়াড ) থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে কমিশনার পদে নির্বাচন করি । এতে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে নির্বাচিত হই। ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্রযন্ত নিজেকে জনগনের সেবায় নিয়োজিত রাখি। এর মধ্যেই আবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি।

পর্যায়ক্রমে ২০০৯ সালে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা দলীয় প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করি। স্থানীয় জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে জয়ের দারপ্রান্তে নিয়ে যায়। হঠাৎ করে আওয়ামীলীগের পদপ্রার্থী সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও গুলি ছুড়ে এবং কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করে। এতে কিছু কেন্দ্র স্থগিত করা হয়। পরে ঐ বছরেই ১৬ মার্চ পূনঃ নির্বাচন দেওয়া হয়। তখন আওয়ামীলীগ প্রার্থী সমর্থকরা লাঠি, বৈঠা, অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে কেন্দ্র দখল করে নিজেরাই ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে।

জাহাঙ্গীর আরোও বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আমল থেকে আমাকে আমার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে আমার ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর আওয়ামীলীগের মন্ত্রী,এমপি ও আওয়ামী দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দ্বারা আমাকে সমপত্তি থেকে বিতারিত করে ।

উল্লেখ্য, রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন ৯০ নাম্বার সেন্ট্রাল রোডের দুই কাঠা জায়গার উপর ছয় তলা বিশিষ্ট বাড়িটি একাই আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর।

মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের যোগসাজসে পুরো বাড়িটি ভোগ দখল ও আত্মসাৎ করে।  পাশাপাশি আমাকে ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্ন মামলা ও প্রাণ নাশের হুমকী দেয়। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসন দিয়ে আমাকে গ্রেফতার করার জন্য খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। আমি এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে আমার পরিবারবর্গ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গোপনে বসবাস করি।

আলমগীর (আমার ছোট ভাই) গত ২০১৭ সালে নিজে বাদী হয়ে আমার ও আমার স্ত্রীর নামে কলাবাগান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার মূল উদ্দেশ্য হলো  ৯০ নাম্বার সেন্ট্রাল রোড বাড়িটি দখল করা।

আমার পিতা এ কে আহমদ হোসেনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন জিডি ও মামলা করি নাই।

এ কে আহমদ হোসেন (আমার পিতা) গত ২০১১ সালে ১৩ই ফেব্রুয়ারি একটি হলফনামায় অঙ্গীকার করে গেছেন। তিনি হলফ নামায় বলেছেন, জিডি ও মামলা এসব ভুয়া বানোয়াট ও মিথ্যা। এরপরও ভিত্তিহীন ভাবে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর বিভিন্ন প্ররোচনায় আবারো বাড়ির বিষয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর বিজ্ঞ আদালত সবকিছু তদন্ত সাপেক্ষে মামলাটি খারিজ করে দেন। বিজ্ঞ আদালত আরো বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তির ওয়ারিশ হিসেবে চারতলার ফ্ল্যাটটি জাহাঙ্গীর বসবাস করবেন ।

এরপর চলতি বছরে ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীরের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন। পিটিশন মামলার নাম্বার ১১১। মামলাটি চলমান রয়েছে ।

এছাড়াও আমার পৈত্রিক সম্পত্তির বাড়িটি আত্মসাৎ করার জন্য মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর সুইডেন থেকে স্বৈরাচার আওয়ামী ষড়যন্ত্রকারীদের দিয়ে একের পর এক ষড়যন্ত্র ও অন্যায় মূলক ভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন হেনস্তা করে যাচ্ছে।

পরিবারের অভিযোগ সূত্রে ও  মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বলেন , মোয়াজ্জেম হোসেন আলমগীর দেশ-বিদেশে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সাথে এবং বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে থেকে দেশ-বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। তাছাড়াও প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত তার এই অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। আমি এইসব হয়রানি থেকে পরিত্রাণ চেয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি।

 

এসবিএন