ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৬৭ ও জেলায় ৭৬ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ

স্বাধীনবাংলা, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪ ৯১ বার পঠিত

সংগ্রহীত ছবি

স্বাধীনবাংলা টেলিভিশনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৬৭ শতাংশ এবং জেলায় ৭৬ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রার্থীদের প্রভাব, ভৌগোলিক অবস্থান, পূর্বের ইতিহাস বিবেচনায় নিয়ে এই তালিকা তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে আলাদা নজরে থাকবে এসব ভোট কেন্দ্র। ৩ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এসব কেন্দ্র ঘিরে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মোট ২ হাজার ২৩টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে ৬৩ লক্ষাধিক ভোটার। মহানগরের ভেতরে থাকা ৬৬০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৪৬টি কেন্দ্র নিরাপত্তার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ বলছে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। আর জেলা পুলিশের আওতায় থাকা বাকি ১৩শ ৬৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার ৪২টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, ভোটগ্রহণকে নিরাপদ ও উৎসবমুখর করতে কয়েকভাগে নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করছে তারা। গুরুত্ব বিবেচনা করে কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা ও টহল দল নির্ধারণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ‘কেন্দ্রগুলির ভৌগোলিক অবস্থান মাথায় রেখে চূড়ান্ত সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আমরা মাঠে নেমেছি।’

প্রাথমিক নিরাপত্তা পরিকল্পনায় ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র ঘিরে আলাদা বিশেষ টহলদল, প্রতি থানায় দুটি স্ট্রাইকিং টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), সেনাবাহিনী ও দ্বীপাঞ্চলে কাজ করবে নৌবাহিনীর সদস্যরা।

চট্টগ্রাম জেলাধীন সংসদীয় আসন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানান, নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে ৭৯ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে ৩২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামারি ট্রায়াল পরিচালনা করবেন। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক নির্বাচন সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন করতে সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে আহ্বান জানান। এবার চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ১২২ জন। এর মধ্যে ১১টি আসনে প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার নানা খবর পাওয়া গেছে।

 

এসবিএন

চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৬৭ ও জেলায় ৭৬ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ

প্রকাশের সময় : ১১:৪৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৬৭ শতাংশ এবং জেলায় ৭৬ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রার্থীদের প্রভাব, ভৌগোলিক অবস্থান, পূর্বের ইতিহাস বিবেচনায় নিয়ে এই তালিকা তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে আলাদা নজরে থাকবে এসব ভোট কেন্দ্র। ৩ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এসব কেন্দ্র ঘিরে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মোট ২ হাজার ২৩টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে ৬৩ লক্ষাধিক ভোটার। মহানগরের ভেতরে থাকা ৬৬০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৪৬টি কেন্দ্র নিরাপত্তার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ বলছে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। আর জেলা পুলিশের আওতায় থাকা বাকি ১৩শ ৬৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার ৪২টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, ভোটগ্রহণকে নিরাপদ ও উৎসবমুখর করতে কয়েকভাগে নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করছে তারা। গুরুত্ব বিবেচনা করে কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা ও টহল দল নির্ধারণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ‘কেন্দ্রগুলির ভৌগোলিক অবস্থান মাথায় রেখে চূড়ান্ত সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আমরা মাঠে নেমেছি।’

প্রাথমিক নিরাপত্তা পরিকল্পনায় ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র ঘিরে আলাদা বিশেষ টহলদল, প্রতি থানায় দুটি স্ট্রাইকিং টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), সেনাবাহিনী ও দ্বীপাঞ্চলে কাজ করবে নৌবাহিনীর সদস্যরা।

চট্টগ্রাম জেলাধীন সংসদীয় আসন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানান, নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে ৭৯ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে ৩২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামারি ট্রায়াল পরিচালনা করবেন। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক নির্বাচন সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন করতে সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে আহ্বান জানান। এবার চট্টগ্রামের ১৬ আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ১২২ জন। এর মধ্যে ১১টি আসনে প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার নানা খবর পাওয়া গেছে।

 

এসবিএন