ঢাকা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বে নয় মামলার আসামী কামাল

মোঃ শাহনেওয়াজ, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৬:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ ৫৩ বার পঠিত
স্বাধীনবাংলা টেলিভিশনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

মোঃ শাহনেওয়াজ, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সোলেমা বেগম ও স্বামী জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে জমিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার নয় মামলার আসামী মো. কামাল হোসেন কালীগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড চৈতারপাড়া গ্রামের মৃত ফাইজ উদ্দিনের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড চৈতারপাড়া গ্রামের মৃত ফাইজ উদ্দিনের ছেলে মো. জামাল হোসেন ও তার স্ত্রী মূলগাঁও ২নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা কেয়া সুলতানা ও সোলেমা বেগম জমিসহ বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ কামাল হোসেন ও তার পরিবারের সাথে শত্রুতা চলছে। শিক্ষিকা সোলেমার ভাই আকরাম হোসেন সেগুনবাগিচা এনএসআই কার্যালয়ের উপ-পরিচালক। তারা জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে কামাল হোসেনের নামে কালীগঞ্জ ও জয়দেবপুর থানায় নয়টি মামলায় আসামী করেন।

এছাড়াও সোলেমা বেগম ও জামাল হোসেন বিভিন্ন সময়ে কামাল হোসেন ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে লাঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্থ করার পর কামাল কালীগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে বার বার অভিযোগ দিলেও ঐশরিক কারণে বিগত দিনে থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

সোলেমা বেগম গত ২৬ ফেব্রুয়ারী বিকালে কামাল হোসেনের বাড়ীতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ, শারীরিক লাঞ্ছিতসহ কামাল ও তার পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। এ বিষয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী কামাল হোসেন কালীগঞ্জ থানায় ১৪০০ নং জিডি করেন।

তারই জের ধরে সোলেমা বেগম ও তার স্বামী জামাল হোসেন গত ১৫ আগষ্ট ২০২৪ইং রাতে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কামাল হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। এ বিষয়ে কামাল হোসেন বাদী হয়ে গত ২৫ আগষ্ট কালীগঞ্জ থানায় ৮(৮)২৪ নং মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে সোলেমা বেগম ও জামাল হোসেন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছে।

এ বিষয়ে ভূক্তভোগী মো. কামাল হোসেন বলেন, জামাল আমার ছোট ভাই। সোলেমা বেগম তার স্ত্রী। সোলেমার একভাই এনএসআই অফিসে চাকুরী করেন। জামাল ও সোলেমা বেগম জমিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আমার সাথে শত্রুতা করে আসছে। তারা বিভিন্ন লোকজনকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ ও জয়দেবপুর থানায় নয়টি মামলা দিয়েছেন। ১৫ আগষ্ট রাতে তারা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আল্লাহর অশেষ কৃপায় আমি বেচে যাই। বর্তমানে আমি নিরুপায়।

আমি তাদের বিরুদ্ধে গাজীপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও পরিচালক (প্রশাসন), এনএসআই অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কেয়া সুলতানা ও সোলেমা বেগম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। কামাল হোসেন ১০ বছর যাবৎ জোরপূর্বক আমাদের জমি দখল করে রেখেছে।
এ বিষয়ে মো. আকরাম হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কামাল ও জামাল পরস্পর আপন ভাই। তাদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। তাদের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই। তারা আমাকে হেয় করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

এসবিএন

কালীগঞ্জে জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বে নয় মামলার আসামী কামাল

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৬:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদটি শেয়ার করুন :

মোঃ শাহনেওয়াজ, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সোলেমা বেগম ও স্বামী জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে জমিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার নয় মামলার আসামী মো. কামাল হোসেন কালীগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড চৈতারপাড়া গ্রামের মৃত ফাইজ উদ্দিনের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড চৈতারপাড়া গ্রামের মৃত ফাইজ উদ্দিনের ছেলে মো. জামাল হোসেন ও তার স্ত্রী মূলগাঁও ২নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা কেয়া সুলতানা ও সোলেমা বেগম জমিসহ বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ কামাল হোসেন ও তার পরিবারের সাথে শত্রুতা চলছে। শিক্ষিকা সোলেমার ভাই আকরাম হোসেন সেগুনবাগিচা এনএসআই কার্যালয়ের উপ-পরিচালক। তারা জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে কামাল হোসেনের নামে কালীগঞ্জ ও জয়দেবপুর থানায় নয়টি মামলায় আসামী করেন।

এছাড়াও সোলেমা বেগম ও জামাল হোসেন বিভিন্ন সময়ে কামাল হোসেন ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে লাঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্থ করার পর কামাল কালীগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে বার বার অভিযোগ দিলেও ঐশরিক কারণে বিগত দিনে থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

সোলেমা বেগম গত ২৬ ফেব্রুয়ারী বিকালে কামাল হোসেনের বাড়ীতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ, শারীরিক লাঞ্ছিতসহ কামাল ও তার পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। এ বিষয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী কামাল হোসেন কালীগঞ্জ থানায় ১৪০০ নং জিডি করেন।

তারই জের ধরে সোলেমা বেগম ও তার স্বামী জামাল হোসেন গত ১৫ আগষ্ট ২০২৪ইং রাতে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কামাল হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। এ বিষয়ে কামাল হোসেন বাদী হয়ে গত ২৫ আগষ্ট কালীগঞ্জ থানায় ৮(৮)২৪ নং মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে সোলেমা বেগম ও জামাল হোসেন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছে।

এ বিষয়ে ভূক্তভোগী মো. কামাল হোসেন বলেন, জামাল আমার ছোট ভাই। সোলেমা বেগম তার স্ত্রী। সোলেমার একভাই এনএসআই অফিসে চাকুরী করেন। জামাল ও সোলেমা বেগম জমিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আমার সাথে শত্রুতা করে আসছে। তারা বিভিন্ন লোকজনকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ ও জয়দেবপুর থানায় নয়টি মামলা দিয়েছেন। ১৫ আগষ্ট রাতে তারা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আল্লাহর অশেষ কৃপায় আমি বেচে যাই। বর্তমানে আমি নিরুপায়।

আমি তাদের বিরুদ্ধে গাজীপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও পরিচালক (প্রশাসন), এনএসআই অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কেয়া সুলতানা ও সোলেমা বেগম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। কামাল হোসেন ১০ বছর যাবৎ জোরপূর্বক আমাদের জমি দখল করে রেখেছে।
এ বিষয়ে মো. আকরাম হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কামাল ও জামাল পরস্পর আপন ভাই। তাদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। তাদের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই। তারা আমাকে হেয় করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

এসবিএন