ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

স্বাধীনবাংলা,স্টাফ রির্পোটারঃ
  • প্রকাশের সময় : ০২:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৯ বার পঠিত

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

স্বাধীনবাংলা টেলিভিশনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, স্টাফ রির্পোটারঃ

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কাজ আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

আজ ট্রাইব্যুনালের কার্যতালিকায় শেখ হাসিনার মামলাটিও ছিল। শুনানি শেষে তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার তদন্তকাজ শেষের সময় নির্ধারণ করে দেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া পরোয়ানাভুক্ত আরও ৪৫ আসামিদের বিষয়েও তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

এর আগে, জুলাই-আগস্টে গণহত্যার মামলায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১২ আসামিকে এদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তবে সাবেক কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক অসুস্থ থাকায় তাকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করা হয়নি।

হাজির করা আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে, সাবেক পাঠ ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম), সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম রয়েছেন।

কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের আন্দোলন দমাতে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে সমূলে বা আংশিক নির্মূলের লক্ষ্যে হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের মামলায় গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।

এরপর গত ২৭ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে (শোন এরেস্ট) ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই ট্রাইব্যুনালে আগামী ২০ নভেম্বর সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, সাবেক ঢাকা জেলার এডিসি আব্দুল্লাহ হিল কাফী, সাবেক এডিসি আরাফাতুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান এবং গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলামকে হাজির করার জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

এসবিএন

নিউজটি শেয়ার করুন

সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

প্রকাশের সময় : ০২:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, স্টাফ রির্পোটারঃ

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কাজ আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

আজ ট্রাইব্যুনালের কার্যতালিকায় শেখ হাসিনার মামলাটিও ছিল। শুনানি শেষে তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার তদন্তকাজ শেষের সময় নির্ধারণ করে দেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া পরোয়ানাভুক্ত আরও ৪৫ আসামিদের বিষয়েও তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

এর আগে, জুলাই-আগস্টে গণহত্যার মামলায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১২ আসামিকে এদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তবে সাবেক কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক অসুস্থ থাকায় তাকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করা হয়নি।

হাজির করা আসামিদের মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে, সাবেক পাঠ ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (বীর বিক্রম), সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম রয়েছেন।

কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের আন্দোলন দমাতে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে সমূলে বা আংশিক নির্মূলের লক্ষ্যে হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের মামলায় গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।

এরপর গত ২৭ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে (শোন এরেস্ট) ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই ট্রাইব্যুনালে আগামী ২০ নভেম্বর সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, সাবেক ঢাকা জেলার এডিসি আব্দুল্লাহ হিল কাফী, সাবেক এডিসি আরাফাতুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান এবং গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল ইসলামকে হাজির করার জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

এসবিএন