বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন,
সংখ্যালঘুরা আমাদের নাগরিক
- প্রকাশের সময় : ১১:৪১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০ বার পঠিত
স্বাধীনবাংলা, ডেস্ক নিউজঃ
এখানকার সংখ্যালঘুরা আমাদের নাগরিক। তাদের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এ বিষয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি দেশটির উদ্দেশে বলেছেন, ভারতের বলা প্রয়োজন গত জুলাই–আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা নিয়ে। বৃহঃবার (১৪ নভেম্বর) বিবিসি হিন্দিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।
এসময় ভারতীয় গণমাধ্যম অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে ভুল সংবাদ প্রচারের অভিযোগ করে এই উপদেষ্টা বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যম আমাদের সরকারকে নিয়ে ভুল সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। ভারতের উচিত এ বিষয়ে একটা সীমা টানা। আমরা চাই, তথ্যের ভিত্তিতে আলোচনা হোক ও সম্পর্ক উন্নয়নের প্রশ্নেও আলোচনা হোক।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জুলাই–আগস্টে যে গণহত্যা ঘটিয়েছে, সেটাকে ভারত কীভাবে দেখে। এটা ভারত এখনো স্পষ্ট করেনি। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ভারত এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি। উল্টো যার ওপরে এই ঘটনার দায় বর্তায়, ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ভারতের কাছে সহায়তার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যে ব্যক্তি তার স্বজনকে হারিয়েছে, ভারত যদি তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয় তাহলে বাংলাদেশের জনগণ সেটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে।
এ সময় নাহিদ ইসলাম আরোও বলেন, আমি চাই, ভারত আমাদের সহায়তা করুক, যাতে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর কিছু উগ্র ও কট্টরপন্থী সংগঠনের তৎপরতা বাড়াতে পারে। এ কারণে শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতের নিরাপত্তারও সমস্যা হতে পারে, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নে নাহিদ ইসলাম জবাব, বাংলাদেশের মানুষ কখনো কোনো সহিংসতা বা উগ্রবাদী সংগঠনকে সমর্থন করে না। বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক সরকার চায়। আপনি যা বলছেন সেটা আওয়ামী লীগের প্রচার করা অসত্য ন্যারেটিভ (বয়ান)। তারা বলত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর তৎপরতা বেড়ে যাবে। এসব বলে বলে তারা এত বছর বাংলাদেশ শাসন করেছে। ভারতও এই ন্যারেটিভ সমর্থন করে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারে থাক বা না থাক—এটা দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে কেন প্রভাব পড়বে? এর মানে হলো, ভারত এ দেশের মানুষের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে এ প্রশ্ন উঠত না। যেমন আমরা এটা দেখি না ভারতে কে ক্ষমতায় বিজেপি না কংগ্রেস। সে রকমই এখানেও এটাই হওয়া উচিত।
এসবিএন