ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সারাদেশে বজ্রপাতে ৯ জনের মৃত্যু

স্বাধীনবাংলা, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৮ বার পঠিত

সংগ্রহীত ছবি

স্বাধীনবাংলা টেলিভিশনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

শনিবার সিলেট, সুনামগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিলেটের জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানিগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর এবং সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

এছাড়া সুনামগঞ্জের তা‌হিরপুর উপ‌জেলায় বজ্রপাতে সুজন মিয়া ও সিরাজ মিয়া নামে আপন দুই ভাই আহত হয়েছে। তারা উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিকূল গ্রামের আনফর আলীর ছেলে। উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের কামারকান্দি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে। আহত সুজন মিয়াকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সিলেটের মৃতরা হলো— জৈন্তাপুর উপজেলায় আগফৌদ গ্রামের নুরুল হকের ছেলে নাহিদ আহমদ, ভিত্রিখেল ববরবন্দ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান, কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের কেওটিহাওর গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে কালা মিয়া, কানাইঘাট পৌরসভার বাসিন্দা নুর উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পুটামারা গ্রামের নেজামুল হক ও গোয়াইনঘাট উপজেলার ভিতরখেল হাওরের বাসিন্দা রাজ্জাক মিয়ার স্ত্রী রুকসানা বেগম। সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের সিরাজপুর গ্রামের সুলকু মিয়ার ছেলে দীন ইসলামের মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে। এছাড়া  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়নের নাগরৌহা গ্রামের দুই দিনমজুর রফিকুল ইসলামের ছেলে রুহুল (২৯) ও বেলাল হোসেনের ছেলে আশরাফ (৪১) বজ্রপাতে মারা গেছে।

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নাহিদ বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন, আর আব্দুল মান্নান মাঠে কৃষিকাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের।’ কানাইঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বজ্রপাতের সময় নুর উদ্দিন মাছ ধরছিলেন, আর কালা মিয়া ট্রাক্টর দিয়ে মাঠে হাল চাষ করছিলেন। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের।’

কোম্পানিগঞ্জে নিহত নেজামুলের স্বজনরা জানায়, নেজামুল হাস চরানোর জন্য পাশের হাওরে যাচ্ছিলেন। এসময় আকস্মিক বজ্রাপাত হলে তাঁর মৃত্যু হয়। গোয়াইনঘাট থানার ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, ‘বাড়ির উঠানে কাজ করা অবস্থায় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রুকসানার।’

সুনামগঞ্জে বাড়ির পাশের হাওরে লাকড়ি আনতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই দীন ইসলামের মৃত্যু হয়। বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মো. কাওছার আলম জানান, ‘বজ্রপাতে মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’ তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান জানান, বজ্রপাতে আহত সুজন মিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কম‌প্লেক্সে চি‌কিৎসা নি‌চ্ছেন।

উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে দুই দিনমজুরের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন থেকে পরিবার দুটিকে আর্থিক সহায়তায় করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

 

এসবিএন

সারাদেশে বজ্রপাতে ৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ১২:৩৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

শনিবার সিলেট, সুনামগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিলেটের জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানিগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর এবং সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

এছাড়া সুনামগঞ্জের তা‌হিরপুর উপ‌জেলায় বজ্রপাতে সুজন মিয়া ও সিরাজ মিয়া নামে আপন দুই ভাই আহত হয়েছে। তারা উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিকূল গ্রামের আনফর আলীর ছেলে। উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের কামারকান্দি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে। আহত সুজন মিয়াকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সিলেটের মৃতরা হলো— জৈন্তাপুর উপজেলায় আগফৌদ গ্রামের নুরুল হকের ছেলে নাহিদ আহমদ, ভিত্রিখেল ববরবন্দ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান, কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের কেওটিহাওর গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে কালা মিয়া, কানাইঘাট পৌরসভার বাসিন্দা নুর উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পুটামারা গ্রামের নেজামুল হক ও গোয়াইনঘাট উপজেলার ভিতরখেল হাওরের বাসিন্দা রাজ্জাক মিয়ার স্ত্রী রুকসানা বেগম। সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের সিরাজপুর গ্রামের সুলকু মিয়ার ছেলে দীন ইসলামের মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে। এছাড়া  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়নের নাগরৌহা গ্রামের দুই দিনমজুর রফিকুল ইসলামের ছেলে রুহুল (২৯) ও বেলাল হোসেনের ছেলে আশরাফ (৪১) বজ্রপাতে মারা গেছে।

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নাহিদ বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন, আর আব্দুল মান্নান মাঠে কৃষিকাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের।’ কানাইঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বজ্রপাতের সময় নুর উদ্দিন মাছ ধরছিলেন, আর কালা মিয়া ট্রাক্টর দিয়ে মাঠে হাল চাষ করছিলেন। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুজনের।’

কোম্পানিগঞ্জে নিহত নেজামুলের স্বজনরা জানায়, নেজামুল হাস চরানোর জন্য পাশের হাওরে যাচ্ছিলেন। এসময় আকস্মিক বজ্রাপাত হলে তাঁর মৃত্যু হয়। গোয়াইনঘাট থানার ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, ‘বাড়ির উঠানে কাজ করা অবস্থায় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রুকসানার।’

সুনামগঞ্জে বাড়ির পাশের হাওরে লাকড়ি আনতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই দীন ইসলামের মৃত্যু হয়। বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মো. কাওছার আলম জানান, ‘বজ্রপাতে মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’ তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান জানান, বজ্রপাতে আহত সুজন মিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কম‌প্লেক্সে চি‌কিৎসা নি‌চ্ছেন।

উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে দুই দিনমজুরের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন থেকে পরিবার দুটিকে আর্থিক সহায়তায় করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

 

এসবিএন