ঢাকা ০৪:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকতাকে ঢেলে সাজানোর দাবি গণমাধ্যম সংস্কার উদ্যোগের

স্বাধীনবাংলা, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : ১০:০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪ ২৪ বার পঠিত
স্বাধীনবাংলা টেলিভিশনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

গণমাধ্যমকর্মীদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের কারণে মানুষের মনে গণমাধ্যম নিয়ে তৈরি হয়েছে নেতিবাচক ধারণা। কিন্তু নতুন বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে পুরো ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছেন স্বাধীন সাংবাদিকতার প্লাটফর্ম ‘গণমাধ্যম সংস্কার উদ্যোগ’। শনিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আলোচনা সভায় গণমাধ্যম সংস্কারে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এ সময় করপোরেট ইন্টারেস্ট, লেজুড়বৃত্তিক সাংবাদিক সংগঠন এবং নিজেদের লোভ ও পক্ষপাতের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহবান জানান কলামিস্ট ও গবেষক আলতাফ পারভেজ।

অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের ব্যাপক সংস্কারকল্পে ১৩ দফা দাবি পেশ করেন সাংবাদিকরা। দাবিগুলো হল-

* ছাত্র –জনতার আন্দোলনের সময় নিহত গণমাধ্যমকর্মী ও আক্রান্ত গণমাধ্যমকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

* ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে আহত-নিহত গণমাধ্যমকর্মী ও আক্রান্ত গণমাধ্যমকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সকল বন্ধ গণমাধ্যম অনতিবিলম্বে খুলে দিতে হবে।

* গণমাধ্যমের যেসব মালিক ও নির্বাহীরা গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছে, তদন্ত সাপেক্ষ তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

* গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন ওয়েজর্বোড প্রণয়ন করতে হবে।অনতিবিলম্বে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করতে হবে। যারা অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করেছে বলে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে কিন্তু বাস্তবে বাস্তবায়ন করেনি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে।

* শ্রম আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ বণ্টন করতে হবে।

* উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অগণতান্ত্রিক উপায়ে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের দখলদারিত্বের যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

* গণমাধ্যম কর্মীদের সর্বস্তরের ভয়ভীতি বন্ধ করতে হবে। গণমাধ্যম পরিচালনা সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ এবং সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনে সরকার ও বিশেষ সংস্থার নির্দেশনা, নিয়ন্ত্রণ প্রবণতা চিরতরে বন্ধ করতে হবে।

* গণমাধ্যম পরিচালনার ধরণসহ সার্বিক বিষয়ে সংস্কারের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করতে হবে।

* গণমাধ্যম এবং স্বাধীন মত প্রকাশে বিরোধী নিবর্তনমূলক  আইনের সকল ধারা বাতিল করতে হবে।

* আইসিটি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব  মামলা প্রত্যাহার  করতে হবে।

* সাংবাদিক সাগর-রুনি দম্পত্তি হত্যাসহ সব হত্যাকান্ড ও নির্যাতনের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

* বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের গুম, নির্যাতন, হয়রানির সঙ্গে জড়িতদের বিচার করতে হবে।

* সকল গণমাধ্যম যেন গণমানুষের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতে পারে  সেই নিশ্চয়তার বিধান  করতে হবে।

 

এসবিএন

ট্যাগস :

সাংবাদিকতাকে ঢেলে সাজানোর দাবি গণমাধ্যম সংস্কার উদ্যোগের

প্রকাশের সময় : ১০:০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

গণমাধ্যমকর্মীদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের কারণে মানুষের মনে গণমাধ্যম নিয়ে তৈরি হয়েছে নেতিবাচক ধারণা। কিন্তু নতুন বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে পুরো ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছেন স্বাধীন সাংবাদিকতার প্লাটফর্ম ‘গণমাধ্যম সংস্কার উদ্যোগ’। শনিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আলোচনা সভায় গণমাধ্যম সংস্কারে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এ সময় করপোরেট ইন্টারেস্ট, লেজুড়বৃত্তিক সাংবাদিক সংগঠন এবং নিজেদের লোভ ও পক্ষপাতের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহবান জানান কলামিস্ট ও গবেষক আলতাফ পারভেজ।

অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের ব্যাপক সংস্কারকল্পে ১৩ দফা দাবি পেশ করেন সাংবাদিকরা। দাবিগুলো হল-

* ছাত্র –জনতার আন্দোলনের সময় নিহত গণমাধ্যমকর্মী ও আক্রান্ত গণমাধ্যমকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

* ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে আহত-নিহত গণমাধ্যমকর্মী ও আক্রান্ত গণমাধ্যমকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সকল বন্ধ গণমাধ্যম অনতিবিলম্বে খুলে দিতে হবে।

* গণমাধ্যমের যেসব মালিক ও নির্বাহীরা গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছে, তদন্ত সাপেক্ষ তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

* গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন ওয়েজর্বোড প্রণয়ন করতে হবে।অনতিবিলম্বে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করতে হবে। যারা অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করেছে বলে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে কিন্তু বাস্তবে বাস্তবায়ন করেনি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে হবে।

* শ্রম আইন অনুযায়ী লভ্যাংশ বণ্টন করতে হবে।

* উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অগণতান্ত্রিক উপায়ে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের দখলদারিত্বের যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

* গণমাধ্যম কর্মীদের সর্বস্তরের ভয়ভীতি বন্ধ করতে হবে। গণমাধ্যম পরিচালনা সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ এবং সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনে সরকার ও বিশেষ সংস্থার নির্দেশনা, নিয়ন্ত্রণ প্রবণতা চিরতরে বন্ধ করতে হবে।

* গণমাধ্যম পরিচালনার ধরণসহ সার্বিক বিষয়ে সংস্কারের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করতে হবে।

* গণমাধ্যম এবং স্বাধীন মত প্রকাশে বিরোধী নিবর্তনমূলক  আইনের সকল ধারা বাতিল করতে হবে।

* আইসিটি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব  মামলা প্রত্যাহার  করতে হবে।

* সাংবাদিক সাগর-রুনি দম্পত্তি হত্যাসহ সব হত্যাকান্ড ও নির্যাতনের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

* বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের গুম, নির্যাতন, হয়রানির সঙ্গে জড়িতদের বিচার করতে হবে।

* সকল গণমাধ্যম যেন গণমানুষের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতে পারে  সেই নিশ্চয়তার বিধান  করতে হবে।

 

এসবিএন