ঢাকা ১১:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুধকুমার-তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিচু বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা

স্বাধীনবাংলা, স্টাফ রির্পোটারঃ
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪ ৪৩ বার পঠিত

কুড়িগ্রামের প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

স্বাধীনবাংলা টেলিভিশনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, স্টাফ রির্পোটারঃ

বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্ট ও দুধকুমার নদের ভুরুঙ্গামারী পাটেশ্বরী (সোনাহাট সেতু) পয়েন্টে। এছাড়াও কুড়িগ্রামের প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।  অন্য নদনদীগুলোর পানিও বিপৎসীমার কাছাকাছি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিচু বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে প্লাবিত হতে পারে বলে শঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্ককরণ কেন্দ্র। এদিকে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। বেশ কিছু এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় পাউবোর তথ্য বলছে, মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল ৬টা হতে বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৬টায় দুধকুমারের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। একই সময়ে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে বেড়েছে ৩৮ সেন্টিমিটার পানি। এ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমার নিচে থাকলেও ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার ও ধরলার সেতু পয়েন্টে ওই সময়ের মধ্যে ৪৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

স্থানীয়সূত্রে জানাযায়, এলাকার বিভিন্ন চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। বেশ কিছু সবজি ক্ষেত ও বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। নদী পাড়ের মানুষরা বলছেন, যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে অল্প সময়ের ভেতর ঘরে পানি ঢুকতে পারে। এতে ভোগান্তিতে পড়বে মানুষ।

পানির গতি বাড়ায় ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে বেশ কিছু এলাকায়। জেলার রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় ভাঙছে তিস্তা। এদিকে দুধকুমার ভাঙছে চরভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরীর রায়গঞ্জ, বামনডাঙ্গা, বল্লভেরখাসসহ একাধিক ইউনিয়নে। রৌমারী উপজেলার হবিগঞ্জ বাজার, সোনাপুর, ফলুয়ারচর ঘাট, রাজীবপুরের কোদালকাটিতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে সোনাপুরে ভাঙনরোধে জরুরী ভিত্তিতে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, নদনদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় স্বল্প মেয়াদি বন্যা সৃষ্ট হতে পারে। ভাঙনপ্রবণ সাতটি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। ভাঙনরোধে একটিতে জরুরি কাজ চলছে। ভাঙনপ্রবণ অন্য এলাকাগুলোতে কাজ করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। ত্রাণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যা কবলিতদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এসবিএন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দুধকুমার-তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিচু বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা

প্রকাশের সময় : ০৪:০৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, স্টাফ রির্পোটারঃ

বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্ট ও দুধকুমার নদের ভুরুঙ্গামারী পাটেশ্বরী (সোনাহাট সেতু) পয়েন্টে। এছাড়াও কুড়িগ্রামের প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।  অন্য নদনদীগুলোর পানিও বিপৎসীমার কাছাকাছি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিচু বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে প্লাবিত হতে পারে বলে শঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্ককরণ কেন্দ্র। এদিকে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। বেশ কিছু এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় পাউবোর তথ্য বলছে, মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল ৬টা হতে বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৬টায় দুধকুমারের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। একই সময়ে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে বেড়েছে ৩৮ সেন্টিমিটার পানি। এ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমার নিচে থাকলেও ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার ও ধরলার সেতু পয়েন্টে ওই সময়ের মধ্যে ৪৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

স্থানীয়সূত্রে জানাযায়, এলাকার বিভিন্ন চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। বেশ কিছু সবজি ক্ষেত ও বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। নদী পাড়ের মানুষরা বলছেন, যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে অল্প সময়ের ভেতর ঘরে পানি ঢুকতে পারে। এতে ভোগান্তিতে পড়বে মানুষ।

পানির গতি বাড়ায় ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে বেশ কিছু এলাকায়। জেলার রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় ভাঙছে তিস্তা। এদিকে দুধকুমার ভাঙছে চরভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরীর রায়গঞ্জ, বামনডাঙ্গা, বল্লভেরখাসসহ একাধিক ইউনিয়নে। রৌমারী উপজেলার হবিগঞ্জ বাজার, সোনাপুর, ফলুয়ারচর ঘাট, রাজীবপুরের কোদালকাটিতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে সোনাপুরে ভাঙনরোধে জরুরী ভিত্তিতে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, নদনদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় স্বল্প মেয়াদি বন্যা সৃষ্ট হতে পারে। ভাঙনপ্রবণ সাতটি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। ভাঙনরোধে একটিতে জরুরি কাজ চলছে। ভাঙনপ্রবণ অন্য এলাকাগুলোতে কাজ করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। ত্রাণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যা কবলিতদের উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এসবিএন