ঢাকা ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী ও ফেনীতে ভোটকেন্দ্রে আগুন

স্বাধীনবাংলা, রাজশাহী ও ফেনী প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫৫:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪ ১৩৪ বার পঠিত

আড়ানি ইউনিয়নের ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আগুন

স্বাধীনবাংলা টেলিভিশনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, রাজশাহী ও ফেনী প্রতিনিধিঃ

আগামী রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বন্ধ হয়েছে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার। এরই মধ্যে রাজশাহীর বাঘা ও ফেনীর সোনাগাজীতে দুটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, দুর্বৃত্তদের দেওয়া এসব আগুনে কেউ হতাহত না হলেও পুড়ে গেছে কেন্দ্রের আসবাবপত্র।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানি ইউনিয়নের ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আগুনের ঘটনা ঘটে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুরাদ আলী বলেন, ‘রাতে আগুন লাগে। অফিসের পেছনের জানালার ফাঁকা দিয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থলে পেট্রল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো দুষ্কৃতকারী আগুন দিয়েছে। তবে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে কোনো সমস্যা হবে না।’

রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মুখপাত্র রফিকুল আলম জানান, নির্বাচনী কেন্দ্রে আগুনের ঘটনা তদন্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার একটি ভোটকেন্দ্রে পেট্রল দিয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে চরসাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনের আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পুড়ে যায়।

আড়ানি ইউনিয়নের ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আগুন

সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ও অফিস সহকারীর কক্ষে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুনে অফিসকক্ষের দুটি কম্পিউটার, ৭টি আলমারির মধ্যে দুটি শতভাগ পুড়ে যায়, ৫টি আলমারির কাগজপত্র পুড়ে যায়। এছাড়া ২০টি চেয়ার, ২টি টেবিল, ২টি দরজা ও বই পুড়ে যায়। অফিসকক্ষের জানালার পাশ থেকে একটি পানির বোতলে পেট্রল পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

সোনাগাজী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তাসলিম হুসাইন আগুনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, যে ভবনে কেন্দ্র হওয়ার কথা, সেটিতে আগুন দেওয়া হয়নি। পাশের ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে। আগুনের ঘটনা তদন্তে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

 

এসবিএন

রাজশাহী ও ফেনীতে ভোটকেন্দ্রে আগুন

প্রকাশের সময় : ১১:৫৫:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, রাজশাহী ও ফেনী প্রতিনিধিঃ

আগামী রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বন্ধ হয়েছে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার। এরই মধ্যে রাজশাহীর বাঘা ও ফেনীর সোনাগাজীতে দুটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, দুর্বৃত্তদের দেওয়া এসব আগুনে কেউ হতাহত না হলেও পুড়ে গেছে কেন্দ্রের আসবাবপত্র।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানি ইউনিয়নের ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আগুনের ঘটনা ঘটে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুরাদ আলী বলেন, ‘রাতে আগুন লাগে। অফিসের পেছনের জানালার ফাঁকা দিয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থলে পেট্রল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো দুষ্কৃতকারী আগুন দিয়েছে। তবে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে কোনো সমস্যা হবে না।’

রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মুখপাত্র রফিকুল আলম জানান, নির্বাচনী কেন্দ্রে আগুনের ঘটনা তদন্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার একটি ভোটকেন্দ্রে পেট্রল দিয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে চরসাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনের আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পুড়ে যায়।

আড়ানি ইউনিয়নের ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আগুন

সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ও অফিস সহকারীর কক্ষে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুনে অফিসকক্ষের দুটি কম্পিউটার, ৭টি আলমারির মধ্যে দুটি শতভাগ পুড়ে যায়, ৫টি আলমারির কাগজপত্র পুড়ে যায়। এছাড়া ২০টি চেয়ার, ২টি টেবিল, ২টি দরজা ও বই পুড়ে যায়। অফিসকক্ষের জানালার পাশ থেকে একটি পানির বোতলে পেট্রল পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

সোনাগাজী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তাসলিম হুসাইন আগুনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, যে ভবনে কেন্দ্র হওয়ার কথা, সেটিতে আগুন দেওয়া হয়নি। পাশের ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে। আগুনের ঘটনা তদন্তে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

 

এসবিএন