মুষলধারে বৃষ্টি, সিলেটে আবারও বন্যা
- প্রকাশের সময় : ১১:১২:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪ ৪৯ বার পঠিত
স্বাধীনবাংলা, সিলেট প্রতিনিধিঃ
পাহাড়ি ঢালে এবং অতিবৃষ্টির কারণে সিলেটে আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। আজ সোমবার (১ জুলাই) সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে । একই সঙ্গে ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টিতে সীমান্ত জনপদ গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট এলাকার নিম্নাঞ্চল ফের প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়াও ভারী বর্ষণে নগরের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। রাস্তাঘাট ডুবে বাসা-বাড়িতে ওঠেছে পানি। এছাড়াও উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মানুষজন ফের ছুটছেন আশ্রয় কেন্দ্রে।
উজানে বৃষ্টির কারণে নদ-নদীর পানি ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষ করে লোভা ও ডাউকি নদীর পানি খরস্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন করে সিলেটে ও চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
এরই মধ্যে দুই দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কানাইঘাটের সুরমা ডাইকের অন্তত ১৮টি ভাঙন দিয়ে তীব্র গতিতে সুরমা ও লোভা নদীর পানি লোকালয়ে ঢোকছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলামের তথ্যমতে, ভারী বর্ষণে উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে উপজেলাবাসীকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, যেসব ঘর বাড়িতে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের সময় নষ্ট না করে এখনই নিরাপদ আশ্রয়ে তথা নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি। এরই মধ্যে উপজেলায় ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মোট ৪৭টি নৌকা মাঝিসহ টিম প্রস্তুত রাখা আছে।
গোয়াইনঘাটের জাফলং মামার বাজারের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া সংবাদ মাধ্যমকে জানান, জাফলংয়ের ডাউকি নদীর পানি অনেক কম ছিল। কিন্তু আজ সকাল থেকে উজানে ভারত থেকে প্রবল বেগে পানি নেমে আসছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন বলেন, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল (সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা) ৩৯.৬ মিলিমিটার। শুধুমাত্র আজ সকাল ৬ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৫৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার। আর বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে ৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যমতে, চেরাপুঞ্জিতেও গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগেরদিন ৩০ জুন চেরাপেুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৮৬ মিলিমিটার। যে কারণে পাহাড়ি নদীগুলো দিয়ে ঢলের পানি নেমে আসছে।
এসবিএন