ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে ৬ মাসে ১০০ কারখানা বন্ধ: বিজিএমইএ

স্বাধীনবাংলা, ডেস্ক নিউজঃ
  • প্রকাশের সময় : ০৯:১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ৯ বার পঠিত

বাংলাদেশে ৬ মাসে ১০০ কারখানা বন্ধ: বিজিএমইএ

স্বাধীনবাংলা টেলিভিশনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, ডেস্ক নিউজঃ

দেশের তৈরি পোশাক শিল্প থেকে রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসলেও এই খাতের সংকট যেন কাটছেই না। শ্রমিক অসন্তোষ, জ্বালানি সংকটসহ নানাবিধ চ্যালেঞ্জে জর্জরিত শিল্পটি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে, গত ছয় মাসে ১০০টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে বেকার হয়েছেন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার শ্রমিক। এছাড়া ১৫৮টি কারখানা নিয়মিত বেতন দিতে পারছে না। শিল্প মালিকদের দাবি, সংকট নিরসনে বড় কারখানাগুলোকে সহায়তা করা হলেও ছোট কারখানাগুলোর প্রতি সরকার যথাযথ মনোযোগ দিচ্ছে না।

বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলো সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে। শ্রমিক অসন্তোষের কারণে কাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ৯ শতাংশ বেতন বাড়ানোর পরও অসন্তোষ কমেনি। এটি খাতটির সামগ্রিক অস্থিতিশীলতা বাড়াচ্ছে।

মিথিলা অ্যাপারেলসের চেয়ারম্যান আযহার খান বলেন, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকলে এ খাত টিকে থাকা কঠিন। এলপি গ্যাস দিয়ে কারখানা চালালে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়, যা কোনোভাবেই মেটানো সম্ভব নয়।

মহিউদ্দিন রুবেল আরও বলেন, বায়াররা শ্রীলঙ্কা, ভারত, ও পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে, যেখানে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। কিন্তু আমাদের দেশে সমস্যাগুলো সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ না নেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

 

এসবিএন

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে ৬ মাসে ১০০ কারখানা বন্ধ: বিজিএমইএ

প্রকাশের সময় : ০৯:১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, ডেস্ক নিউজঃ

দেশের তৈরি পোশাক শিল্প থেকে রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসলেও এই খাতের সংকট যেন কাটছেই না। শ্রমিক অসন্তোষ, জ্বালানি সংকটসহ নানাবিধ চ্যালেঞ্জে জর্জরিত শিল্পটি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) জানিয়েছে, গত ছয় মাসে ১০০টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে বেকার হয়েছেন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার শ্রমিক। এছাড়া ১৫৮টি কারখানা নিয়মিত বেতন দিতে পারছে না। শিল্প মালিকদের দাবি, সংকট নিরসনে বড় কারখানাগুলোকে সহায়তা করা হলেও ছোট কারখানাগুলোর প্রতি সরকার যথাযথ মনোযোগ দিচ্ছে না।

বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলো সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে। শ্রমিক অসন্তোষের কারণে কাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ৯ শতাংশ বেতন বাড়ানোর পরও অসন্তোষ কমেনি। এটি খাতটির সামগ্রিক অস্থিতিশীলতা বাড়াচ্ছে।

মিথিলা অ্যাপারেলসের চেয়ারম্যান আযহার খান বলেন, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকলে এ খাত টিকে থাকা কঠিন। এলপি গ্যাস দিয়ে কারখানা চালালে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়, যা কোনোভাবেই মেটানো সম্ভব নয়।

মহিউদ্দিন রুবেল আরও বলেন, বায়াররা শ্রীলঙ্কা, ভারত, ও পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে, যেখানে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। কিন্তু আমাদের দেশে সমস্যাগুলো সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ না নেওয়া হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

 

এসবিএন