উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান,
‘বাংলাদেশের পানির অধিকার ও হিস্যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ শিগগিরই’
- প্রকাশের সময় : ০৩:৩৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩০ বার পঠিত
স্বাধীনবাংলা, ডেস্ক নিউজঃ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন যে, বাংলাদেশের পানির অধিকার ও হিস্যা নিয়ে ভারতের সাথে আলোচনার জন্য খুব শীঘ্রই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জনগণের কথা শুনে এ আলোচনা করা হবে এবং ফলাফলও জনগণকে জানানো হবে। আন্তর্জাতিক নদীর পানি ভাগাভাগির বিষয়টি অত্যন্ত জটিল হলেও জরুরি তথ্য ভাগাভাগি রাজনীতি নয়। কোথায় কোথায় স্ট্রাকচার, কি পরিমাণ বৃষ্টিপাত তা জানাতে পারে। সেক্ষেত্রে জানমালের ক্ষতি ও অনেক প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে “অভিন্ন নদীতে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার” শীর্ষক এক বিশেষ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও পানি সম্পদ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে কোনো দেশ এককভাবে যেতে পারে না, দুটো দেশকে একসাথে যেতে হয়। বৃষ্টির পানির তথ্য শেয়ার করার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জোড়ালো এবং স্পষ্টভাবে বাংলাদেশের দাবি জানানো হবে। তিনি বলেন, শুধু আন্তর্জাতিক নদীর হিস্যাই নয় অভ্যন্তরীণ নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। নদী একটি জীবন্ত সত্ত্বা তাই সম্মিলিত ভাবে বাংলাদেশের নদীগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ব নদী দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মিহির বিশ্বাস, অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মো. এজাজ। বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম এবং এসোসিয়েশন অব ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা প্রমুখ।
সেমিনারে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, পরিবেশবিদ, এবং সরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন। বক্তাগণ অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা নদী ব্যবস্থাপনার জন্য আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ, সঠিক পানির হিসাব এবং দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক আলোচনা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এসবিএন