ঢাকা ১২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাটোরের ‘ও’ পজিটিভের পরিবর্তে ‘এ’ পজিটিভ রক্ত প্রয়োগ

স্বাধীনবাংলা, নাটোর প্রতিনিধিঃ
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪১ বার পঠিত

নাটোরের ‘ও’ পজিটিভের পরিবর্তে ‘এ’ পজিটিভ রক্ত প্রয়োগ

স্বাধীনবাংলা টেলিভিশনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, নাটোর প্রতিনিধিঃ

নাটোরের গুরুদাসপুরে নিউ আলপনা ক্লিনিকে সাথী বেগম নামের এক অন্তঃসত্ত্বার শরীরে ভুল রক্ত প্রয়োগে গর্ভে আট মাস ২১ দিন বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী সাথী উপজেলার সাবগাড়ী গ্রামের মো. সালামের মেয়ে ও খাইরুল ইসলামের স্ত্রী। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারের ওই নিউ আলপনা ক্লিনিকটি সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় ক্লিনিকটিতে বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুল ইসলাম। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম এবং গুরুদাসপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মাসুদ রানা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়ায় গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারের নিউ আলপনা ক্লিনিকে অন্তঃসত্ত্বা সাথীকে ভর্তি করান তার স্বামী খায়রুল ইসলাম। সেখানে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে ‘এ’ পজেটিভ বলা হয়। তাৎক্ষণিক ‘এ’ পজেটিভ গ্রুপের এক ব্যাগ রক্ত সাথীর শরীরে প্রয়োগ করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। রক্ত প্রবেশের পরপরই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং শরীরজুড়ে লাল চাকার মতো হয়ে যায়। একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় গর্ভের শিশুর নড়াচড়া।

পরিস্থিতি খারাপ হলে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্ত্রী সাথীকে গুরুদাসপুরের হাজেরা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষার পর জানতে পারেন স্ত্রীর শরীরে ভুল রক্ত প্রয়োগ করায় গর্ভের সন্তান মারা গেছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী খায়রুল ইসলাম জানান, মৃত সন্তানকে নিয়ে তিনি সোমবার রাতেই থানায় হাজির হন। পুলিশের পরামর্শে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। বর্তমানে শিশুটিকে মর্গে রেখে স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে রয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় তিনি নিউ আলপনা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিচার দাবি করেন।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে, এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুল ইসলাম জানান, ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়েছে, তবে কর্তৃপক্ষ পলাতক থাকায় অন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি আরও জানান, গুরুদাসপুরের বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।

এসবিএন

নিউজটি শেয়ার করুন

নাটোরের ‘ও’ পজিটিভের পরিবর্তে ‘এ’ পজিটিভ রক্ত প্রয়োগ

প্রকাশের সময় : ০১:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, নাটোর প্রতিনিধিঃ

নাটোরের গুরুদাসপুরে নিউ আলপনা ক্লিনিকে সাথী বেগম নামের এক অন্তঃসত্ত্বার শরীরে ভুল রক্ত প্রয়োগে গর্ভে আট মাস ২১ দিন বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী সাথী উপজেলার সাবগাড়ী গ্রামের মো. সালামের মেয়ে ও খাইরুল ইসলামের স্ত্রী। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারের ওই নিউ আলপনা ক্লিনিকটি সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় ক্লিনিকটিতে বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুল ইসলাম। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম এবং গুরুদাসপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মাসুদ রানা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়ায় গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারের নিউ আলপনা ক্লিনিকে অন্তঃসত্ত্বা সাথীকে ভর্তি করান তার স্বামী খায়রুল ইসলাম। সেখানে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে ‘এ’ পজেটিভ বলা হয়। তাৎক্ষণিক ‘এ’ পজেটিভ গ্রুপের এক ব্যাগ রক্ত সাথীর শরীরে প্রয়োগ করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। রক্ত প্রবেশের পরপরই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং শরীরজুড়ে লাল চাকার মতো হয়ে যায়। একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় গর্ভের শিশুর নড়াচড়া।

পরিস্থিতি খারাপ হলে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্ত্রী সাথীকে গুরুদাসপুরের হাজেরা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষার পর জানতে পারেন স্ত্রীর শরীরে ভুল রক্ত প্রয়োগ করায় গর্ভের সন্তান মারা গেছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী খায়রুল ইসলাম জানান, মৃত সন্তানকে নিয়ে তিনি সোমবার রাতেই থানায় হাজির হন। পুলিশের পরামর্শে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। বর্তমানে শিশুটিকে মর্গে রেখে স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে রয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় তিনি নিউ আলপনা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিচার দাবি করেন।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে, এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুল ইসলাম জানান, ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়েছে, তবে কর্তৃপক্ষ পলাতক থাকায় অন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি আরও জানান, গুরুদাসপুরের বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।

এসবিএন