ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিমের দামের দায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের না : টিপু মুনশি

স্বাধীনবাংলা, অর্থনীতি খবরঃ
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৪১:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩ ৭৪ বার পঠিত

ডিমের দামের দায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের না: টিপু মুনশি

স্বাধীনবাংলা টেলিভিশনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, অর্থনীতি খবরঃ
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আগে ডিমের সঠিক দাম জানতে হবে। এরপর ভোক্তা অধিকার নায্য দাম আদায়ে মাঠে নামবে। কিন্তু ডিমের দাম কত হবে সেটি ঠিক করে দেয়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ না।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক ছায়া সংসদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক থাকলে সিন্ডিকেটের প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যেত। কিন্তু সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক না করে কয়েকটি সিন্ডিকেট বন্ধ করে দিলে তারা বাজারে পণ্য দেয়া বন্ধ করে দিবে। এতে করে ভোক্তারা বিপাকে পড়বে। তবে সিন্ডিকেটের প্রভাব যাতে না পরে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় করছে।
ভোক্তা অধিকারের অভিযানের ব্যাপ্তি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভোক্তা অধিকারের লোকবলের সংকট আছে। শুধু আইন এবং অভিযান করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। ভোক্তাদের সচেতন হতে হবে, ব্যবসায়ীদের মূল্যবোধ বাড়াতে হবে। বাজারের এমন অবস্থা, আমদানির ঘোষণা দিলে দাম কমে। আবার রমজান আসলে দাম বাড়ে। এ ধরনের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।
ভোক্তাদের ভূমিকা প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, খাদ্য সংকট হবে এই চিন্তা করে অতিরিক্ত মজুদ করা ঠিক নয়। কিন্তু মানুষ করছে। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য আছে। সংকট হলে আমদানি করা যাবে। এছাড়া দাম নির্ণয়ে কৃষকের কথা মাথায় রেখে কাজ করছে সরকার।
বাজারে যেকোনো পণ্যের দাম বাড়লে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। অথচ ডিম, মুরগি, পেঁয়াজ কিংবা কাঁচা মরিচের দাম নির্ধারণ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ না। এর জন্য আলাদা দুটি মন্ত্রণালয় আছে। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দেয় সে দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে কিনা সেটি তদারকি করা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এদিকে শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই দিনের ব্যবধানে ডজন প্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। এছাড়া পাইকারি বাজারে ক্রেতাদের ডিম কিনতে হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকায়। এর বাইরে হালি প্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা এবং প্রতি পিস ডিম ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ডিমের দাম নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, করপোরেট সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে দেশের বাজারে ডিমের দাম আরও বাড়বে। ডিমের দাম বৃদ্ধির কারণ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিম ও মুরগির দাম বেড়ে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির অন্যতম কারণ প্রান্তিক পর্যায়ের অধিকাংশ ছোট ছোট খামার বন্ধ হয়ে যাওয়া। এ কারণে সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে।
এসবিএন /এউরি

ট্যাগস :

ডিমের দামের দায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের না : টিপু মুনশি

প্রকাশের সময় : ০৫:৪১:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, অর্থনীতি খবরঃ
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আগে ডিমের সঠিক দাম জানতে হবে। এরপর ভোক্তা অধিকার নায্য দাম আদায়ে মাঠে নামবে। কিন্তু ডিমের দাম কত হবে সেটি ঠিক করে দেয়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ না।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক ছায়া সংসদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক থাকলে সিন্ডিকেটের প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যেত। কিন্তু সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক না করে কয়েকটি সিন্ডিকেট বন্ধ করে দিলে তারা বাজারে পণ্য দেয়া বন্ধ করে দিবে। এতে করে ভোক্তারা বিপাকে পড়বে। তবে সিন্ডিকেটের প্রভাব যাতে না পরে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় করছে।
ভোক্তা অধিকারের অভিযানের ব্যাপ্তি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভোক্তা অধিকারের লোকবলের সংকট আছে। শুধু আইন এবং অভিযান করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। ভোক্তাদের সচেতন হতে হবে, ব্যবসায়ীদের মূল্যবোধ বাড়াতে হবে। বাজারের এমন অবস্থা, আমদানির ঘোষণা দিলে দাম কমে। আবার রমজান আসলে দাম বাড়ে। এ ধরনের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।
ভোক্তাদের ভূমিকা প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, খাদ্য সংকট হবে এই চিন্তা করে অতিরিক্ত মজুদ করা ঠিক নয়। কিন্তু মানুষ করছে। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য আছে। সংকট হলে আমদানি করা যাবে। এছাড়া দাম নির্ণয়ে কৃষকের কথা মাথায় রেখে কাজ করছে সরকার।
বাজারে যেকোনো পণ্যের দাম বাড়লে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। অথচ ডিম, মুরগি, পেঁয়াজ কিংবা কাঁচা মরিচের দাম নির্ধারণ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ না। এর জন্য আলাদা দুটি মন্ত্রণালয় আছে। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দেয় সে দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে কিনা সেটি তদারকি করা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এদিকে শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই দিনের ব্যবধানে ডজন প্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। এছাড়া পাইকারি বাজারে ক্রেতাদের ডিম কিনতে হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকায়। এর বাইরে হালি প্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা এবং প্রতি পিস ডিম ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ডিমের দাম নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, করপোরেট সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে দেশের বাজারে ডিমের দাম আরও বাড়বে। ডিমের দাম বৃদ্ধির কারণ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিম ও মুরগির দাম বেড়ে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির অন্যতম কারণ প্রান্তিক পর্যায়ের অধিকাংশ ছোট ছোট খামার বন্ধ হয়ে যাওয়া। এ কারণে সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে।
এসবিএন /এউরি