ঢাকা ১২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় গর্ভবতী নারীরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে

স্বাধীনবাংলা, আন্তর্জাতিক খবরঃ
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৭১ বার পঠিত

সংগ্রহীত ছবি

স্বাধীনবাংলা টেলিভিশনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, আন্তর্জাতিক খবরঃ

গাজার হাসপাতালে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে গর্ভবতী নারীদের। প্রসবজনিত নানা জটিলতায় পড়তে হচ্ছে তাদের। এছাড়া হাসপাতালের পরিবেশ তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সহায় নয় বলছে চিকিৎসকরা। এদিকে, গাজার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যসেবা পতনের মুখে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে গাজার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসা নিতে আসার সংখ্যা। সেইসাথে বেড়েছে অকাল প্রসব, গর্ভপাত এবং মৃত সন্তান প্রসবের সংখ্যা। এছাড়া হাসপাতালগুলোতে আহত রোগীদের আনাগোনায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের পাশাপাশি এসব নারীদের পড়তে হচ্ছে মানসিক চাপের মুখে।

গাজার খান ইউনিসের মাতৃত্ব বিভাগের এক চিকিৎসক জানান, তাদের হাসপাতালে গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসা সেবা দিতে খেতে হচ্ছে হিমশিম। কর্মী সংকট এবং জ্বালানি সংকট তীব্র হওয়ায় নবজাত শিশুরা ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।

নাসের হাসপাতাল মাতৃত্ব ও নার্সারি বিভাগের পরিচালক ড. ওয়ালিদ আবু হাতাব বলেন, ‘গাজায় প্রতিবছর প্রায় ৫৬ হাজার থেকে ৫৮ হাজার শিশু জন্ম নেয়। কিন্তু যুদ্ধের এই সময়ে শিশু জন্মের সংখ্যা বেড়েছে ব্যাপারটা এমন নয়। বরং বাড়ছে গর্ভবতী নারীদের বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা। এর ফলে গর্ভপাত ও অকাল প্রসবের মতো ঘটনা ঘটছে অনেক বেশি।’

এছাড়া নাসের হাসপাতালের অবস্থান গাজার দক্ষিণে, যেখানে আশ্রয় নিয়েছে উত্তরাঞ্চল থেকে আসা বহু বাস্তুচ্যুত নাগরিক। কয়েক হাজার মানুষের ভিড়, খাদ্য ও পানির সংকট সেখানে তৈরি করেছে বিশৃঙ্খল এক পরিবেশের।

এদিকে, ইসরায়েলের টানা বিমান হামলায় বহু ফিলিস্তিনি রোগ ও ক্ষুধার সঙ্গে যুদ্ধ করছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান। জেনেভায় জাতিসংঘে অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে ভলকার তুর্ক বলেন, জ্বালানি হ্রাস গাজা জুড়ে বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলবে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে অনেক সংকটময় পরিস্থিতিতে কাজ করেছি। কিন্তু গাজার মতো এমন ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি কখনো হইনি। গাজার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যসেবা পতনের মুখে রয়েছে। ক্ষুধা সমস্যা এবং সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব ব্যাপক হারে অঞ্চলটিতে বেড়ে যাবে।’

এসময় দীর্ঘস্থায়ী মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান ছাড়া গাজায় স্থায়ী শান্তি অসম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

এসবিএন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গাজায় গর্ভবতী নারীরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে

প্রকাশের সময় : ০৬:১২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, আন্তর্জাতিক খবরঃ

গাজার হাসপাতালে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে গর্ভবতী নারীদের। প্রসবজনিত নানা জটিলতায় পড়তে হচ্ছে তাদের। এছাড়া হাসপাতালের পরিবেশ তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সহায় নয় বলছে চিকিৎসকরা। এদিকে, গাজার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যসেবা পতনের মুখে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে গাজার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসা নিতে আসার সংখ্যা। সেইসাথে বেড়েছে অকাল প্রসব, গর্ভপাত এবং মৃত সন্তান প্রসবের সংখ্যা। এছাড়া হাসপাতালগুলোতে আহত রোগীদের আনাগোনায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের পাশাপাশি এসব নারীদের পড়তে হচ্ছে মানসিক চাপের মুখে।

গাজার খান ইউনিসের মাতৃত্ব বিভাগের এক চিকিৎসক জানান, তাদের হাসপাতালে গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসা সেবা দিতে খেতে হচ্ছে হিমশিম। কর্মী সংকট এবং জ্বালানি সংকট তীব্র হওয়ায় নবজাত শিশুরা ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।

নাসের হাসপাতাল মাতৃত্ব ও নার্সারি বিভাগের পরিচালক ড. ওয়ালিদ আবু হাতাব বলেন, ‘গাজায় প্রতিবছর প্রায় ৫৬ হাজার থেকে ৫৮ হাজার শিশু জন্ম নেয়। কিন্তু যুদ্ধের এই সময়ে শিশু জন্মের সংখ্যা বেড়েছে ব্যাপারটা এমন নয়। বরং বাড়ছে গর্ভবতী নারীদের বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা। এর ফলে গর্ভপাত ও অকাল প্রসবের মতো ঘটনা ঘটছে অনেক বেশি।’

এছাড়া নাসের হাসপাতালের অবস্থান গাজার দক্ষিণে, যেখানে আশ্রয় নিয়েছে উত্তরাঞ্চল থেকে আসা বহু বাস্তুচ্যুত নাগরিক। কয়েক হাজার মানুষের ভিড়, খাদ্য ও পানির সংকট সেখানে তৈরি করেছে বিশৃঙ্খল এক পরিবেশের।

এদিকে, ইসরায়েলের টানা বিমান হামলায় বহু ফিলিস্তিনি রোগ ও ক্ষুধার সঙ্গে যুদ্ধ করছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান। জেনেভায় জাতিসংঘে অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে ভলকার তুর্ক বলেন, জ্বালানি হ্রাস গাজা জুড়ে বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলবে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে অনেক সংকটময় পরিস্থিতিতে কাজ করেছি। কিন্তু গাজার মতো এমন ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি কখনো হইনি। গাজার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যসেবা পতনের মুখে রয়েছে। ক্ষুধা সমস্যা এবং সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব ব্যাপক হারে অঞ্চলটিতে বেড়ে যাবে।’

এসময় দীর্ঘস্থায়ী মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান ছাড়া গাজায় স্থায়ী শান্তি অসম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

এসবিএন