ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরমে আইসক্রিম খেলে আসলেই কি হয়!

স্বাধীনবাংলা, ডেস্ক নিউজঃ
  • প্রকাশের সময় : ০৫:১৭:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ৯৪ বার পঠিত
স্বাধীনবাংলা টেলিভিশনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, ডেস্ক নিউজঃ

প্রায় সব বয়সী মানুষ আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নানা স্বাদের আইসক্রিম পাওয়া যায়। পছন্দ অনুযায়ী সবাই আইসক্রিম খান। কারও কারও কাছে আইসক্রিম আবার প্রথম পছন্দের খাবার। আর গ্রীষ্মে তো সবাই আইসক্রিম খেয়ে থাকেন।

অনেকেরই ধারণা গরমের সময় আইসক্রিম খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। এ কারণে এই সময় আইসক্রিম বেশি বেশি খেয়ে থাকেন। খাওয়ার পর তাৎক্ষণিক অবশ্য শরীর ও মন দুটোই ঠান্ডা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই অবশ্য শরীরের তাপমাত্রা আবার বেড়ে যায়। তখন গরম অনুভূতি হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যানসাসের ডায়েটিশিয়ান টাটা মার্শেলা। গ্রীষ্মে আইসক্রিম খাওয়ার ব্যাপারে তিনি জানান―গরমের সময় আইসক্রিম খাওয়ার মতো বুদ্ধি তিনি কেউকে দেবেন না। আইসক্রিম তাৎক্ষণিক ঠান্ডা করলেও আদতে এটি শরীর গরম করে।

এ ব্যাপারে বিস্তৃতভাবে টাটা মার্শেলা বলেন, আইসক্রিমে বিদ্যমান পূর্ণ ননির দুধ, ফ্যাট, শর্করা হজম করা পাকস্থলীর জন্য সহজ নয়। খাদ্য উপাদানের মধ্যে ফ্যাট বা চর্বিজাতীয় খাবার শরীরের পক্ষে ভাঙা কঠিন কাজ। ফলে ফ্যাট ভাঙার জন্য বেশি তাপ উৎপন্ন হয় শরীরে।

আইসক্রিমকে অস্বাস্থ্যকর খাবারও বলা হয়। ফ্যাট, প্রোটিন ও শর্করার সমন্বয়ে তৈরি হওয়া এ খাবারটি শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এসব উপাদান ভাঙতে গিয়েই তাপমাত্রা বেড়ে যায়। আবার গ্রীষ্মে স্বাভাবিকভাবেই বেশি গরম অনুভব হয়, গরম থেকে অস্বস্তি, পেট ফাঁপা, বদহজমের জন্য আইসক্রিম মূল দায়ী।

গরমের সময় আইসক্রিম খাওয়া হলে সাময়িক সময়ের জন্য ঠান্ডার অনুভূতি হলেও পরিপাকক্রিয়া শুরু হওয়ার পরপরই তা চলে যায়। তাই সাময়কি ভালো লাগার জন্য আইসক্রিম খেলেও পরে নিজেকেই এর পরিণাম ভোগ করতে হয়। এ জন্য গরমে যতটা সম্ভব আইসক্রিম না খাওয়া ভালো।

এছাড়াও গরমের সময় কোল ড্রিংক, বেশী চিনি বা বরফ যুক্ত পানীয় পান না করাই ভালো। এ সময় শরীর ঠান্ডা রাখতে লেবুর শরবত, ডাবের পানি, চিনিহীন লাচ্ছি ও সবুজ শাক-সবজি খাওয়া যেতে পারে। যা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শরীর ঠান্ডা রাখে।

এসবিএন

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গরমে আইসক্রিম খেলে আসলেই কি হয়!

প্রকাশের সময় : ০৫:১৭:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, ডেস্ক নিউজঃ

প্রায় সব বয়সী মানুষ আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নানা স্বাদের আইসক্রিম পাওয়া যায়। পছন্দ অনুযায়ী সবাই আইসক্রিম খান। কারও কারও কাছে আইসক্রিম আবার প্রথম পছন্দের খাবার। আর গ্রীষ্মে তো সবাই আইসক্রিম খেয়ে থাকেন।

অনেকেরই ধারণা গরমের সময় আইসক্রিম খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। এ কারণে এই সময় আইসক্রিম বেশি বেশি খেয়ে থাকেন। খাওয়ার পর তাৎক্ষণিক অবশ্য শরীর ও মন দুটোই ঠান্ডা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই অবশ্য শরীরের তাপমাত্রা আবার বেড়ে যায়। তখন গরম অনুভূতি হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যানসাসের ডায়েটিশিয়ান টাটা মার্শেলা। গ্রীষ্মে আইসক্রিম খাওয়ার ব্যাপারে তিনি জানান―গরমের সময় আইসক্রিম খাওয়ার মতো বুদ্ধি তিনি কেউকে দেবেন না। আইসক্রিম তাৎক্ষণিক ঠান্ডা করলেও আদতে এটি শরীর গরম করে।

এ ব্যাপারে বিস্তৃতভাবে টাটা মার্শেলা বলেন, আইসক্রিমে বিদ্যমান পূর্ণ ননির দুধ, ফ্যাট, শর্করা হজম করা পাকস্থলীর জন্য সহজ নয়। খাদ্য উপাদানের মধ্যে ফ্যাট বা চর্বিজাতীয় খাবার শরীরের পক্ষে ভাঙা কঠিন কাজ। ফলে ফ্যাট ভাঙার জন্য বেশি তাপ উৎপন্ন হয় শরীরে।

আইসক্রিমকে অস্বাস্থ্যকর খাবারও বলা হয়। ফ্যাট, প্রোটিন ও শর্করার সমন্বয়ে তৈরি হওয়া এ খাবারটি শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এসব উপাদান ভাঙতে গিয়েই তাপমাত্রা বেড়ে যায়। আবার গ্রীষ্মে স্বাভাবিকভাবেই বেশি গরম অনুভব হয়, গরম থেকে অস্বস্তি, পেট ফাঁপা, বদহজমের জন্য আইসক্রিম মূল দায়ী।

গরমের সময় আইসক্রিম খাওয়া হলে সাময়িক সময়ের জন্য ঠান্ডার অনুভূতি হলেও পরিপাকক্রিয়া শুরু হওয়ার পরপরই তা চলে যায়। তাই সাময়কি ভালো লাগার জন্য আইসক্রিম খেলেও পরে নিজেকেই এর পরিণাম ভোগ করতে হয়। এ জন্য গরমে যতটা সম্ভব আইসক্রিম না খাওয়া ভালো।

এছাড়াও গরমের সময় কোল ড্রিংক, বেশী চিনি বা বরফ যুক্ত পানীয় পান না করাই ভালো। এ সময় শরীর ঠান্ডা রাখতে লেবুর শরবত, ডাবের পানি, চিনিহীন লাচ্ছি ও সবুজ শাক-সবজি খাওয়া যেতে পারে। যা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শরীর ঠান্ডা রাখে।

এসবিএন