ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা এখনও কাটেনি- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

স্বাধীনবাংলা, আন্তর্জাতিক খবরঃ
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪ ১৫ বার পঠিত

সংগ্রহীত ছবি

স্বাধীনবাংলা টেলিভিশনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, আন্তর্জাতিক খবরঃ

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা এখনও কাটেনি। সংক্রামক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হচ্ছে প্রায় ১৭০০ মানুষের। করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর এমন ভয়ঙ্কর রূপ তুলে ধরেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। বার্তাসংস্থা এএফপির বরাতে শুক্রবার (১২ জুলাই) এ তথ্য প্রকাশ করে সিবিএন নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯ এখনও সারা বিশ্বে সপ্তাহে প্রায় ১৭০০ জনের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। আর এই কারণে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে অতিদ্রুত করোনারোধী টিকা নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের হার হ্রাসের সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ক্রমাগত মৃত্যুর সংখ্যা সামনে আসা সত্ত্বেও ‘তথ্যগুলোতে দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে ভ্যাকসিনের কভারেজ হ্রাস পেয়েছে, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে তারাও রয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা লোকেদের তাদের শেষ ডোজ নেওয়ার ১২ মাসের মধ্যে আবারও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে ডব্লিউএইচও সুপারিশ করছে।’

একইসঙ্গে ভাইরাস নজরদারি এবং সিকোয়েন্সিং বজায় রাখতে ও সাশ্রয়ী মূল্যে এবং নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং সবার জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের সরকারগুলোর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরের কেন্দ্রস্থলে হুনান সি-ফুড মার্কেটে প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। এরপর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারিতে মারা যান ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ।

যদিও এই মহামারিতে প্রাণ হারানো মানুষের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে মনে করা হয়। মানুষের প্রাণ কাড়ার পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বের অনেকে দেশের অর্থনীতিকেও বিপর্যস্ত করে দেয় এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দেয়।

অবশ্য চীনের উহানে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় ।

 

এসবিএন

ট্যাগস :

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা এখনও কাটেনি- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
সংবাদটি শেয়ার করুন :

স্বাধীনবাংলা, আন্তর্জাতিক খবরঃ

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা এখনও কাটেনি। সংক্রামক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে মৃত্যু হচ্ছে প্রায় ১৭০০ মানুষের। করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর এমন ভয়ঙ্কর রূপ তুলে ধরেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। বার্তাসংস্থা এএফপির বরাতে শুক্রবার (১২ জুলাই) এ তথ্য প্রকাশ করে সিবিএন নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯ এখনও সারা বিশ্বে সপ্তাহে প্রায় ১৭০০ জনের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। আর এই কারণে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে অতিদ্রুত করোনারোধী টিকা নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের হার হ্রাসের সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ক্রমাগত মৃত্যুর সংখ্যা সামনে আসা সত্ত্বেও ‘তথ্যগুলোতে দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে ভ্যাকসিনের কভারেজ হ্রাস পেয়েছে, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে তারাও রয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা লোকেদের তাদের শেষ ডোজ নেওয়ার ১২ মাসের মধ্যে আবারও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে ডব্লিউএইচও সুপারিশ করছে।’

একইসঙ্গে ভাইরাস নজরদারি এবং সিকোয়েন্সিং বজায় রাখতে ও সাশ্রয়ী মূল্যে এবং নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা, চিকিৎসা এবং সবার জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের সরকারগুলোর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরের কেন্দ্রস্থলে হুনান সি-ফুড মার্কেটে প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। এরপর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারিতে মারা যান ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ।

যদিও এই মহামারিতে প্রাণ হারানো মানুষের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে মনে করা হয়। মানুষের প্রাণ কাড়ার পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বের অনেকে দেশের অর্থনীতিকেও বিপর্যস্ত করে দেয় এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দেয়।

অবশ্য চীনের উহানে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় ।

 

এসবিএন