স্বাধীনবাংলা, ঢাকা প্রতিনিধিঃ
টানা চারবার সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। পঞ্চমবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শেখ হাসিনা। উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে এবারের চাওয়া দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনা। বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি সাধারণ মানুষের। নতুন সরকার দ্রব্যমূল্য কমাবে, এই প্রত্যাশা নানা শ্রেণি পেশার মানুষের। তাদের মতে, এই সরকার চাইলে বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে পারে।
আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলার সংকটসহ আর্থিক খাতের সংস্কারে গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া রাজনীতি বিশ্লেষকদের মত, টানা ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগকে অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে পদক্ষেপ নিতে হবে। অর্থনীতিবিদরা নতুন সরকারের সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ দেখছেন আর্থিক খাত নিয়ে। ডলার সংকট কমানো, রপ্তানি ও রেমিটেন্স বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবদুল বায়েস বলেন, ‘আমি মনে করি নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর তার প্রথম দৃষ্টি দেওয়া উচিৎ মূল্যস্ফীতির দিকে, জিনিসপত্রের দামের দিকে। এখানে বাজার কোনো কাজ করছে না। এবং সুদের হার, বিনিময় হার—এগুলোকে বাজারমুখী করার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, ইমেডিয়েটলি সেগুলোতে মনোযোগ দিতে হবে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ যে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। সর্বস্তরে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, ‘কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে। আমাদের তরুণ ও যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। আমি ইশতেহারে লক্ষ করেছি দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে অভিযান, সেটি অব্যাহত থাকবে। এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার যদি নতুন কার্যক্রম শুরু করে, আমার মনে হয় জনগণের প্রত্যাশাও পূরণ করা সম্ভব হবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, দেশে সহনশীল রাজনীতি চালু ও বিশ্বজুড়ে আস্থা অর্জন করাও নতুন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
এসবিএন