স্বাধীনবাংলা, আন্তর্জাতিক খবরঃ
অবরুদ্ধ গাজা ও লেবানন থেকে ইসরায়েলের মূল-ভূখণ্ড লক্ষ্য করে একযোগে রকেট হামলা শুরু করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও হিজবুল্লাহ। বেঁধে দেয়া সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরপরই ইসরায়েলে রকেট হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গাজায় ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলার মধ্যেই ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আশকেলনের বাসিন্দাদের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ৫টার মধ্যে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি। লেবানন থেকে টানা তৃতীয় দিনের মতো এমন রকেট হামলা চলছে। একটি সূত্র জানিয়েছে হামাসের সহযোগী হয়ে হিজবুল্লাহ এমন হামলা চালাচ্ছে। তেল আবিব জানিয়েছে, তারা এমন রকেট হামলা সীমান্তে রুখে দিয়েছে। খবর আল জাজিরা।
এর আগে সোমবারও ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। নতুন করে ইসরায়েলের দুই শহরে ১২০টি রকেট ছোড়ার দাবি করেছে এ সশস্ত্র গোষ্ঠী। খবর আল জাজিরা।
বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলের আশদোদ ও আশকেলন শহরে এসব রকেট ছোড়া হয়েছে। ইসরায়েল ও জেরুজালেমজুড়ে বিমান হামলার সাইরেন বাজানো হচ্ছে। জেরুজালেমে তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এর আগে, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলে একযোগে পাঁচ হাজার রকেট দিয়ে হামলা চালিয়েছে হামাস। এতে এখন পর্যন্ত এক হাজার ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার। অন্যদিকে হামাসের হামলার পর পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাহিনী। ইতিমধ্যে দেশটি যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর পাল্টা হামলায় অন্তত ৮৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নজিরবিহীন হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের ৯ শতাধিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলিদের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, ফ্রান্স, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশের অর্ধশতাধিক নাগরিক শনিবারের এই হামলায় নিহত হয়েছেন। আহত ও অপহরণের শিকার হয়েছেন শতাধিক বিদেশি নাগরিক। তাদের অনেকেই সেখানে আয়োজিত সংগীত উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন।
এসবিএন